শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ০৮:৩৬ অপরাহ্ন
আপন নিউজ অফিসঃ কলাপাড়ায় ভূমি জালিয়াতি ও অধিগ্রহণের ক্ষতিগ্রস্ত বরাদ্দকৃত ৬৩ লক্ষ ২২ হাজার ১৯৮ টাকা আত্নসাতের অভিযোগে সহকারী কমিশনার ভূমি কর্মকর্তা কলাপাড়ায় অভিযোগ এনেছে লালুয়া ইউনিয়ন এর হেমায়েত উদ্দিন হিরন মৃধা।
অভিযোগে হিরন মৃধা দাবী করেন, উপজেলার বানাতিবাজার নিবাসী মৃত্যু ছৈজদ্দিন তালুকদার এর পুত্র মোঃ গোলাম মোস্তফা তালুকদার একজন ভুমিহীন কৃষক হিসেবে ১৯৮০ সালে দেড় একর ভুমি বন্দোবস্ত নেয়। ওই বন্দোবস্তকৃত সরকারী শর্ত ভঙ্গ করে ১৯৮৬ সালে ৫৯৪৯/৫৯৫০ নম্বর দলিলে ০.৯৯ একর জমি বিক্রি করে।পরে গোলাম মোস্তফা তালুকদার ও তার ভাই এরফান তালুকদার তথ্য গোপন ও ঠিকানা পরিবর্তন করে ২০১৬ সালে ২৮৫১ নম্বর কবুলিয়াত দলিলে দেড় একর জমি বন্দোবস্ত নেয়। মাত্র দেড় একর জমির মালিক হয়ে বিভিন্ন সময় ২.৪৯ একর জমি বিক্রি করে। পরবর্তীতে সরকার মহা উন্নয়ন প্রকল্প পায়রা সমুদ্র বন্দর নির্মানে জমি অধিগ্রহণ করেন। অধিগ্রহণে ক্ষতিপূরণ ও অবকাঠামোর মূল্য বাবদ ৬৩ লক্ষ ২২ হাজার ১৯৮ টাকা উত্তোলন পূর্বক আত্মসাৎ করেছেন। এসব জালিয়াতি কর্মকান্ডের অভিযোগ এনে গত ১২ ফেব্রুয়ারী লালুয়া ইউনিয়ন এর কলাউপাড়া গ্রামের হেমায়েত উদ্দিন হিরন মৃধা কলাপাড়া উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি কর্মকর্তার বরাবরে অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগের সত্যতা যাচাই করার জন্য লালুয়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করেন। লালুয়া নয়াকাটা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা সরে জমিনে অনুসন্ধানে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে স্ণারক নং ইঃভূঃঅঃ নয়া/ ২০২৩-১৯০ মূলে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। প্রতিবেদন প্রাপ্তিতে পুনরায় ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মোঃ আনোয়ার হোসেনকে অধিকতর তদন্ত করার নির্দেশ দেন।
এব্যাপারে কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি কর্মকর্তা মোঃ কৌশিক আহমেদ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগ পেয়ে নয়াকাটা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ও উপজেলা ভুমি অফিসের সার্ভেয়ারকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছিল কিন্তু শুধু ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন দেয়ায় পুনরায় উপজেলা ভুমি অফিসের সার্ভেয়ার মোঃ আনোয়ার হোসেনকে যাচাই বাছাই করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। প্রতিবেদন প্রাপ্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply